মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে ৩ কোটি টাকা প্রদানের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া কাউন্সিলর প্রার্থী শরীফ মো. আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ জুন) দুপুরে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে তার অনুসারী বরিশাল নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদিয়া মাদ্রাসার বাসিন্দা ও আব্দুস ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. আরিফুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আনিছুর রহমান শরীফকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামি শরীফ মো. আনিছুর রহমান ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বর্তমান কাউন্সিলর। গত ৪ জুন তিনি নগরীর ধানগবেষণা রোড এলাকার নিজ বাড়িতে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর সাফিন মাহমুদ তারিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বড়ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীমকে জড়িয়ে ৩ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন।
তার ওই বক্তব্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ওইদিন রাতেই বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে শরীফ মো. আনিছুর রহমানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া মামলায় বাদী মো. আরিফুর রহমান উল্লেখ করেছেন, শরীফ মো. আনিছুর রহমান বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত।
শরীফ মো. আনিছুর রহমান গত ৪ জুন নিজ বাসভবনে বসে সাংবাদিক এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে প্রেস ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ের সময় শরীফ মো. আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন যে, ঢাকা বসে হাত পাখাকে, ৩ কোটি টাকা দিছে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ।
মামলায় দাবি করা হয়েছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের সমর্থন দেখে আসামি শরীফ মো. আনিছুর রহমান অজ্ঞাত নেতার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এবং হাত পাখার প্রার্থীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে তিনি তার অনুসারীদের মাধ্যমে প্রচার এবং পরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়। যাহার কারণে হাতপাখার প্রার্থীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। এই বক্তব্যের কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া মিথ্যা বক্তব্য নিয়ে বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আসামি তার মিথ্যা অনৈতিক অরাজনৈতিক বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করায় এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হেনে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫, ২৮(১) (২), ২৯(১), ৩১(১) ধারার অপরাধ করেছে।
Leave a Reply